Banned and harmful cough syrup / নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকারক কাফ সিরাপ


নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকারক কাফ সিরাপ



২০১৬ সালের ১০ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ  করে ৩৩৪ ধরণের ওষুধ নিষিদ্ধ করেছে। এইসব ওষুধগুলির সবগুলিই fixed  dose combination অর্থাৎ একাধিক ওষুধের নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশ্রণ। এব্যাপারে সকলকে সচেতন করে তুলতে শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের কারিগরি সহযোগিতায় কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট মেডিসিনাল ইউনিট একটি  পুস্তিকা প্রকাশ  করেছে- "know The  Banned Drugs". এই পুস্তিকা অনুযায়ী সর্দি কাশির  ওষুধ বলে প্রচলিত ১৬১টি মিশ্রণ কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।




কাশির ওষুধ বলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় ছিল  কেবল শুকনো  কাশির দমক কমানোর জন্য Dextromethorphan(ডেক্সট্রোমেথরফান), এই  ওষুধটাও ২০০৩ সালে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।




বাজারে চালু কাশির ওষুধগুলোতে নানান  এলার্জির ওষুধ, কফকে বার করার ওষুধ,কফকে পাতলা করার ওষুধ,কাশির দমক কমানোর ওষুধ এবং হাঁপানির ওষুধ মেশানো থাকে।কিন্তু এলার্জির ওষুধ chlorpheneramin, cetirizine, Feniramine  ইত্যাদি এলার্জির ভালো ওষুধ। তবে কাশিতে ব্যবহার করলে এরা কফকে আঁঠালো করে দেয়, কেশে সহজে বার করা যায় না, ফুসফুসে কফ জমে বেশি ক্ষতি করে। তবু এসব ওষুধ খেলে লোকে আরাম বোধ করেন, কেননা ওগুলো খেলে ঝিমুনি আসে। কাফকে বার করার ও পাতলা করার ওষুধ হিসাবে আমোনিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সাইট্রেট, গুয়াফেনসিন, ব্রোমহেক্সিন, এম্ব্রক্সল ইত্যাদি মেশানো হয়। বিখ্যাত ওষুধ বিজ্ঞানিদের মতে এদের কার্যক্ষমতা জলের চেয়ে বেশি নয়।



শুকনো কাশির দমক কমানোর ওষুধ হিসাবে কোডিন বা ডেক্সট্রোমেথরফান কার্যকর বটে কিন্তু ওগুলোতে নেশায় পড়ার ঝুঁকি থাকে বলে নারকোটিকস তালিকাভুক্ত। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে ৩০ বছর আগে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ হিসাবে এগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার পর আমাদের দেশ থেকে ফেনসিডিল /কোরেক্স জাতীয় কাফ সিরাপ চোরাই চালান হয় সেখানে। কেবল বাংলাদেশে নয় আমাদের দেশেও বিপুল চাহিদা এইসব নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকারক ওষুধের।


একটা অবাস্তব ব্যাপার লক্ষ্য করুন এইসব ক্ষতিকারক কাশির ওষুধে কফ বার করার ও কফকে পাতলা করার ওষুধের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে কাশির দমক কমানোর ওষুধ - দু ধরনের ওষুধের কাজ পরস্পরের বিপরীত। হাঁপানির ওষুধ শ্বাসনালীকে প্রসারিত করে - আর এলার্জির ওষুধ শ্বাসনালীকে শুকিয়ে দিয়ে তার কাজে ব্যাঘাত ঘটায়।


তাই এসব কাশির নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকারক ওষুধ থেকে দূরে থাকা উচিত।


  প্রয়োজনে আয়ুর্বেদিক কাফ সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। বাসক,তুলসী,মধু দ্বারা তৈরী সিরাপ নিরাপদে শিশু,বৃদ্ধ নির্বিশেষে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের ওষুধের কোনো সাইড এফেক্ট নেই । বিশদে জানতে দেখুন aditrimolecules.com এবং এই আয়ুর্বেদিক কোম্পানির DECODEX কফ্ সিরাপ নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন।


কৌশিক সাধুখাঁ (মোঃ)৯৮৩০৪৩৯৮৭৮


                 

Comments

Popular posts from this blog

Medicine for weight gain, which is safe. /মোটা হওয়ার ওষুধ, কোনটি সঠিক জেনে নিন।

FIRST AID - BASIC TIPS AND HOME REMEDIES

ACIDITY AND CONSTIPATION- EASY HOME REMEDIES অম্লপিত্ত ও কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া আয়ুর্বেদিক সমাধান