E-prescription started at West Bengal/ বাংলায় চালু হলো ই -প্রেসক্রিপশন


বাংলায় চালু হলো ই -প্রেসক্রিপশন 


অবশেষে বাংলায় চালু হলো ই -প্রেসক্রিপশন ।পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে প্রেসক্রিপশনে ওষুধের ডোজ বাংলায় লিখতে হবে।বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে সর্বপ্রথম বাংলায় ওষুধের ডোজ লেখা প্রেসক্রিপশন চালু হয়েছে। নিত্যাদিনের ভোগান্তি মেটাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ধীরে ধীরে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে বাংলায় ওষুধের ডোজ লেখা ই -প্রেসক্রিপশন চালু হবে।ওষুধের ডোজের ভাষা বাংলায় হওয়ায় রোগীরা তা সহজেই বুঝতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় শুধু রোগীরাই নয়,ওষুধের দোকানের কর্মচারীরাও ঠিকমতো প্রেসক্রিপশন বুঝতে পারেন না ফলে রোগীদের ওষুধের ডোজ সম্বন্ধে ঠিকমতো বোঝাতে পারেন না। তাছাড়া ডাক্তারবাবুদের হাতের লেখা সংক্রান্ত সমস্যাও অনেক ক্ষেত্রে অসুবিধার কারণ হয়। তাছাড়া প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশ বুঝতেও অনেক অসুবিধা হয়। আউটডোরে রোগীর ভিড়ে সব রুগীকে ওষুধের ডোজ খুঁটিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া  ডাক্তারবাবুদের পক্ষে সবসময় সম্ভব হয় না।তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উদ্যোগে চালু হওয়া এই নতুন প্রকল্পে আশা করি রোগীরা উপকৃত হবে।

ওষুধ দিনে খাবেন না রাতে, খাবার আগে না পরে ,দিনে একবার না তিনবার-এসব তথ্য সাংকেতিক ভাষায় ওডি,বিডি,পিসি লেখার ফলে সাধারণ রোগীদের বুঝতে খুবই অসুবিধা হয়।এই সমস্যা মেটাতে বাংলায় লেখা থাকছে ই -প্রেসক্রিপশনে। বিশেষ সফটওয়ারে মাউসের এক ক্লিকেই ওষুধের নির্দিষ্ট ব্যবহারবিধি বাংলায় লেখা হয়ে যাবে।রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন,'রোগীদের বোঝার সুবিধার্থে আমরা ই -প্রেসক্রিপশনে নতুন এই ব্যবস্থা চালু করেছি। তবে ওষুধের নাম ইংরেজিতেই থাকবে, শুধুমাত্র খাওয়ার বিবরণ থাকবে বাংলায় ।





সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটা কম্পিউটার পরিচালিত হওয়ায় বাংলায় লিখতে ডাক্তারদের সময়ও বেশি লাগছে না।কম্পিউটার ব্যবহারে যারা অভ্যস্থ,সে সকল ডাক্তারদের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।ইতিমধ্যে এসএসকে এম ,কলকাতা মেডিকেল কলেজ ,ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ,বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি সাহা কয়েকটি জায়গায় ই -প্রেসক্রিপশন চালু হয়েছে ।এসএস কেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শঙ্করচন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন ,'এই ব্যবস্থায় অবশ্যই রোগীদের সুবিধা হবে।নিয়ম করে ঠিকমতো ওষুধ খেতে পারবেন।ভুলভ্রান্তি এড়ানো যাবে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উদ্যোগে গোটা রাজ্যে বেশ কয়েকটি সুপার স্পেশাল্টি হসপিটাল তৈরী হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে।ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান তৈরী হয়েছে।স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু হয়েছে।আর নবতম সংযোজন ই-প্রেসক্রিপশন -যা রোগীদের নিশ্চিত সাহায্য করবে।

ধন্যবাদ 
কৌশিক সাধুখাঁ   


Comments

Popular posts from this blog

Medicine for weight gain, which is safe. /মোটা হওয়ার ওষুধ, কোনটি সঠিক জেনে নিন।

FIRST AID - BASIC TIPS AND HOME REMEDIES

ACIDITY AND CONSTIPATION- EASY HOME REMEDIES অম্লপিত্ত ও কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া আয়ুর্বেদিক সমাধান